ধারাবাহিক সন্দীপ ২
২।।
আজ ঈদ ।। ধর্মপ্রাণ কাসেমের কাছে এ এক পবিত্র দিন ।। সকাল বেলায় উঠেই নিয়ম অনুযায়ী স্নান করে নামাজ পড়তে যাবে বলে সে প্রস্তুত ।। গায়ে নতুন কুর্তা আর পাজামা ; গায়ে হালকা আতরের গন্ধ তার ।। উঠানে দাড়িয়ে পাশের ঘরে হাঁক দিল কাসেম ; “ চাচা জান তোমার হলো ? নামাজ পড়ার সময় হয়ে গেলো যে ।। “
বন্ধ দরজাটা আস্তে করে দুফাক করে মুখটা বের করে চাচা বললো , “ আসছি বাবু ।। আর দু মিনিট ।। “ কাসেমের আবার এসব ক্ষেত্রে দেরি সহ্য হয় না ।। সে বিশ্বাস করে আল্লাহ দেরি সহ্য করেন না ।। তিনি প্রচণ্ড সময়ের পাক্কা ।। তাই সে চাচা কে আবার হাঁক পেড়ে বলল ; “ জলদি করো আর আমি এগোলাম ।। “ তিনতলা থেকে লিফটে করে নিচে নামলেই সদর গেট ।। সেখান দিয়ে বেরলেই মুল গলি ; যার মিনিট দুই দূরে মুল রাস্তাটি ।।
গলি থেকে বেরিয়েই কাসেমের দেখা আনিসুরের সাথে ।। আনিসুর রহমান কাসেমের সহপাঠী , পাশাপাশি দুটি ইস্কুলে পড়াশুনা করে তারা ।। উচ্চতা ওই পাঁচ ফুটের মত হবে ; কিন্তু দেখতে খুবই ফরসা ।। কাসেম কে দেখেই এগিয়ে এলো তার দিকে , তারপর একটা মুচকি হেসে বলল ; “ ঈদ মুবারক ।। নমাজের সময় হয়ে এলো ।। আমি ওই দিকেই যাচ্ছি ।। তুমিও নিশ্চয় ওই পথেই ... “ , আনিসুরকে মাঝপথে থামিয়ে কাসেম বলল , “ দাড়িয়ে আর সময় নষ্ট করে লাভ নেই ।। খুদা সময়ের ভীষণ হিসাবি ।। যে সময়ের পিছনে চলে তিনি তার শোনেন না ।। তার চেয়ে চল পথে যেতে যেতে কথা বলা যাক ।। “
কাসেম এর কথায় বেশ অবাক হলেও ; আনিসুর কোন রকম বিতর্কে গেলো না আজ ।। দুজনে মসজিদের দিকে এগোতে শুরু করলো এবার ।।
“ চাচাজান কেমন আছেন ?” ; হাঁটতে হাঁটতে কাসেমকে জিজ্ঞাসা করলো আনিসুর ।। কাসেম একটা ছোট্ট হাসি খেলিয়ে বলল , “ ওই আছে আর কি ?” কাসেম উত্তর দিল ঠিকই কিন্তু তার চোখ মুখ হাব ভাব কোনটাই যেন উত্তরের সাথে মানান সই হল না ।। তাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন এক অন্য ভাবনায় হারিয়ে আছে সে আজ ।। “ কি রে কি এতো ভাবছিস ? “ কাসেম এর কাছে আনিসুর জানতে চাইল এবার ।। আবারও বেশ অন্যমনস্ক ভাবে কাসেম উত্তর দিল , “ কিছু না ; মানে তুই বুঝবি না ।। “
“ কেন বুঝবো না কেন ? তুই বল তো একবার ।।“ আনিসুর বলল ।।
কাসেম এবার হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে পড়ে বলল , “ চাচা আজ আমায় তউফা দিতে চায় ।। ভাবছি দুটো জিনিস চেয়েই নি এবার – দেশ আর ভালোবাসা ।।“
“ এ তো দারুন খবর , তুই চাস চাচা তোর বাড়িতে জানাক যে তুই সামিমা ...” , আনিসুর কে আর কিছু বলতে না দিয়েই কাসেম হনহন করে এগিয়ে গেল ; কিছুদুর গিয়ে দাঁড়ালো ; তারপর প্রায় দশ পা পিছিয়ে এসে চিৎকার করে বলে উঠল , “ সামিমা নয় ; ওর নাম গরিমা , গরিমা ভট্টাচার্য “ ।। চোখ মুখ তার লাল হয়ে গেছে ; এমন অবস্থায় পিছনে ঘুরতেই কাসেম দেখল চাচা আর সামিমা দাড়িয়ে ।। সামিমা বিবি তার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে ।। চাচার কোচিং এ একজন সেরা ... চাচার সাথে দেখা গেটেতেই ।।
চারপাশ থমথমে ; কারুর মুখে কথা নেই ।। দূরে আজানের শব্দ শুনে সবাইকে পিছনে ফেলে হনহন করে এগোতে শুরু করলো কাসেম আলি ।। বাকিরাও মিনিট খানেক পর ; তাকে অনুসরণ করলো ।।
আজ ঈদ ।। ধর্মপ্রাণ কাসেমের কাছে এ এক পবিত্র দিন ।। সকাল বেলায় উঠেই নিয়ম অনুযায়ী স্নান করে নামাজ পড়তে যাবে বলে সে প্রস্তুত ।। গায়ে নতুন কুর্তা আর পাজামা ; গায়ে হালকা আতরের গন্ধ তার ।। উঠানে দাড়িয়ে পাশের ঘরে হাঁক দিল কাসেম ; “ চাচা জান তোমার হলো ? নামাজ পড়ার সময় হয়ে গেলো যে ।। “
বন্ধ দরজাটা আস্তে করে দুফাক করে মুখটা বের করে চাচা বললো , “ আসছি বাবু ।। আর দু মিনিট ।। “ কাসেমের আবার এসব ক্ষেত্রে দেরি সহ্য হয় না ।। সে বিশ্বাস করে আল্লাহ দেরি সহ্য করেন না ।। তিনি প্রচণ্ড সময়ের পাক্কা ।। তাই সে চাচা কে আবার হাঁক পেড়ে বলল ; “ জলদি করো আর আমি এগোলাম ।। “ তিনতলা থেকে লিফটে করে নিচে নামলেই সদর গেট ।। সেখান দিয়ে বেরলেই মুল গলি ; যার মিনিট দুই দূরে মুল রাস্তাটি ।।
গলি থেকে বেরিয়েই কাসেমের দেখা আনিসুরের সাথে ।। আনিসুর রহমান কাসেমের সহপাঠী , পাশাপাশি দুটি ইস্কুলে পড়াশুনা করে তারা ।। উচ্চতা ওই পাঁচ ফুটের মত হবে ; কিন্তু দেখতে খুবই ফরসা ।। কাসেম কে দেখেই এগিয়ে এলো তার দিকে , তারপর একটা মুচকি হেসে বলল ; “ ঈদ মুবারক ।। নমাজের সময় হয়ে এলো ।। আমি ওই দিকেই যাচ্ছি ।। তুমিও নিশ্চয় ওই পথেই ... “ , আনিসুরকে মাঝপথে থামিয়ে কাসেম বলল , “ দাড়িয়ে আর সময় নষ্ট করে লাভ নেই ।। খুদা সময়ের ভীষণ হিসাবি ।। যে সময়ের পিছনে চলে তিনি তার শোনেন না ।। তার চেয়ে চল পথে যেতে যেতে কথা বলা যাক ।। “
কাসেম এর কথায় বেশ অবাক হলেও ; আনিসুর কোন রকম বিতর্কে গেলো না আজ ।। দুজনে মসজিদের দিকে এগোতে শুরু করলো এবার ।।
“ চাচাজান কেমন আছেন ?” ; হাঁটতে হাঁটতে কাসেমকে জিজ্ঞাসা করলো আনিসুর ।। কাসেম একটা ছোট্ট হাসি খেলিয়ে বলল , “ ওই আছে আর কি ?” কাসেম উত্তর দিল ঠিকই কিন্তু তার চোখ মুখ হাব ভাব কোনটাই যেন উত্তরের সাথে মানান সই হল না ।। তাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন এক অন্য ভাবনায় হারিয়ে আছে সে আজ ।। “ কি রে কি এতো ভাবছিস ? “ কাসেম এর কাছে আনিসুর জানতে চাইল এবার ।। আবারও বেশ অন্যমনস্ক ভাবে কাসেম উত্তর দিল , “ কিছু না ; মানে তুই বুঝবি না ।। “
“ কেন বুঝবো না কেন ? তুই বল তো একবার ।।“ আনিসুর বলল ।।
কাসেম এবার হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে পড়ে বলল , “ চাচা আজ আমায় তউফা দিতে চায় ।। ভাবছি দুটো জিনিস চেয়েই নি এবার – দেশ আর ভালোবাসা ।।“
“ এ তো দারুন খবর , তুই চাস চাচা তোর বাড়িতে জানাক যে তুই সামিমা ...” , আনিসুর কে আর কিছু বলতে না দিয়েই কাসেম হনহন করে এগিয়ে গেল ; কিছুদুর গিয়ে দাঁড়ালো ; তারপর প্রায় দশ পা পিছিয়ে এসে চিৎকার করে বলে উঠল , “ সামিমা নয় ; ওর নাম গরিমা , গরিমা ভট্টাচার্য “ ।। চোখ মুখ তার লাল হয়ে গেছে ; এমন অবস্থায় পিছনে ঘুরতেই কাসেম দেখল চাচা আর সামিমা দাড়িয়ে ।। সামিমা বিবি তার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে ।। চাচার কোচিং এ একজন সেরা ... চাচার সাথে দেখা গেটেতেই ।।
চারপাশ থমথমে ; কারুর মুখে কথা নেই ।। দূরে আজানের শব্দ শুনে সবাইকে পিছনে ফেলে হনহন করে এগোতে শুরু করলো কাসেম আলি ।। বাকিরাও মিনিট খানেক পর ; তাকে অনুসরণ করলো ।।
Comments
Post a Comment