চন্দ্রমুখী দর্শন ২
জানি না এই অন্তরদর্শন কতটা সব জায়গাতেই প্রযোজ্য এবং প্রাসঙ্গিক হয় তবে এটা আমার নিজের কাছে সেই ছোট্ট থেকেই খুব বেশী করে মনে হয়,,,,,
যার মা ও বাবা সৌভাগ্য বা সঠিক সময়ের সঠিক সুযোগের সদ্ব্যবহারে নিজেদের বা নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার নিপুণ শৈলীতে খুব বেশী নামী ও প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতায়,,,,,
যে শুধু তাদের সেই নাম ব্যবহার করেই উত্তরসূরী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূর্বপুরুষের নাম ভাঙিয়ে খেয়ে যেতে পারে আর স্বচ্ছল ও বিলাসী এক উন্মার্গ এর সৈকত পেয়ে যায় অনেক আগেই যে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি এবং যৌবনে পদার্পণে নিজেদের ভাসিয়ে দিতে পারে,,,,,
তাদের ছেলেমেয়েরা সবসময় অপদার্থ ও অকালকুষ্মান্ড হয়ে পড়ে,,,,,
আর তারপর নিজেদের অকর্মণ্যতা নিয়ে এতটাই নিজেদের ব্যক্তিত্বের উপর চাপিয়ে বসে থাকে অন্ধ হয়ে যে তারাই সেই বংশের নাম ভেঙে ভেঙে খেয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়ে কারণ "Constant dropping wears stone" এর মানে হচ্ছে বসে বসে খেলে কুবেরও ফতুর হয়,,,,
তবে আমি তাদের কথা বলতে চাইছি না কিন্তু একেবারেই যারা সত্যিকারের কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু নিজেদের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তা কুলায় না সেটা তো শুধুমাত্র তাদের অক্ষমতা তার বেশী কিছু নয় কারণ সেটা তো তাদের দোষ নয়,,,,
তারা তো আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় তারপরেও দোষ বা ত্রুটি থেকে যায় সেটা আর কী করার,,,,,
মা ও বাবা কে তো সেটা গ্রহণযোগ্যতা দিয়েই ধরে রাখতে হয়,,,,,
কিংবা ইচ্ছে না করলেও মেনে নিতে হয়,,,,,
তারা তো তখন সঠিক বিচক্ষণতা ও যোগ্যতার বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের মানদন্ডে তুলে ধরতে পারে না তাতে হয়তো লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে তাদের মাথা ও নাক দুটোই কেটে যাবে প্রকাশ্যে সকলের সামনে কিংবা সেই প্রসঙ্গ কে না মানতে চেয়ে প্রখর অনীহায় তারা তখন শাঁখের করাতে থেকে শুধু মুখের কথা ও অযৌক্তিক প্রশংসার তলায় তাদের অস্তিত্ব কে চাপা দিয়ে তাদের সন্তানের অভিব্যক্তি হীন ক্ষণভঙ্গুর অস্তিত্ব কে যক্ষের ধন করে আগলে রাখবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় যাতে সেটা প্রকাশ্যে না আসে,,,,,
আর অন্যদিকে যার মা বাবা সবথেকে বেশী অনামী যাদের হয়তো অতো বেশী করে প্রতিপত্তি কিংবা নাম নেই,,,,,
তাদের ছেলেমেয়েরা পূর্বপুরুষ থেকে কিছু তো পায়ই না উল্টে তাদের হাত থেকে অনেকসময় কঠোর পরিস্থিতির চাপে আর কঠোর জীবন যাপনের সংগ্রামে টিকে থাকতে গিয়ে যেটুকু তাদের হাতে নিজের অস্তিত্বের নিজের ইচ্ছার তাগিদে কিছু সখ কিছু পাওয়ার আছে সেটাও দুমড়ে মুচড়ে কেড়ে নেওয়া হয় কারণ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আঁচড় তাদের আত্মহননে এগিয়ে আসে,,,,,
তখন তারা কেমন করে যেন আশ্চর্য ভাবে "হতে পারে না" কিংবা "হবে না" এই চির পাষাণপ্রস্তর শিলান্যাসে থাকা তাদের ভবিষ্যত কিংবা বিধিলিপি কে রূপান্তরকামী দেহে এক জাজ্বল্যমান অগ্নিশিখায় অভিব্যক্তি রূপে নিজেদের কে প্রতিষ্ঠিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং কখনো সক্ষম হয়,,,,
আর সেটাই তখন বংশের ঔজ্জ্বল্য এবং নাম কিংবা ক্ষমতা প্রতিপত্তির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয় জন্মের মতন,,,,
যে তার পরবর্তী প্রজন্ম কে আর ভাবতেই হয় না বা সামঞ্জস্যে মন মেরে যেন তেন প্রকারেন বেঁচে থাকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভুগতে হয় না,,,,,
হাড়কঙ্কালসার জীবদ্দশায় থাকতে হয় না,,,,
শুধু আরাম আর আরাম,,,,,,
তবে এক্ষেত্রে মানে যে দুটো প্রসঙ্গ তুলে ধরলাম সেখানে হয়তো কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও থাকতে পারে,,,,
আবার আরো একটা বিষয় অতি সার সংক্ষেপে তুলে ধরলাম প্রকাশ্যে সেটা হল যার বাবা মা অতিরিক্ত চালাক ও কৌশলী সবসময় মাকড়সার মানে ঊর্ণনাভ জালে অপরকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টায় বসে থাকে কিংবা সর্বক্ষণ শুধু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির অন্বেষণে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে,,,,,
তাদের ছেলেমেয়েরা সবথেকে বেশী অপদার্থ আর গাধা হয় সে যতই তারা দিনরাত তাদের কে বাক্যবাণে অমুক তমুক বলে ধমকে চমকে গাছপালা চমকে চোখরাঙানো রক্তরাঙামেঘে চোখের কার্ণিশে আক্ষেপের লবণ ধরে রাখুক না কেন সেই সকল কালঘাম ফেলে তাদের ছেলেমেয়েদের পেছনে করে যাওয়া পরিশ্রম অনেকটাই পণ্ডশ্রম হয়ে যায়,,,,
এটা অনেকটাই গাধা পিটিয়ে ঘোড়া তৈরী করার মিথ্যার মোহগ্রস্ত প্রয়াস যার শেষে তারা কাঙাল আছে আর কাঙালই থেকে যাবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই,,,,
ঐ যে একটা কথা আছে না অতি চালাকের গলায় দড়ি আদ্যোপান্ত একদিন নিয়তির ঘর্ষণে সেটাই শাশ্বত কিংবা ধ্রুবসত্য হবে,,,,,,
Comments
Post a Comment