প্রবন্ধের সবুজপত্র
ঝিঁঝিপোকার ডাক, তীক্ষ্মতায় হতবাক !
~ রাজা দেবরায়
ঝিঁঝিপোকার আওয়াজে কান ঝালাপালা হয় আমাদের । এরা আকারে কত ছোট কিন্তু আওয়াজ কত তীক্ষ্ম ! কেনো ? অন্যান্য পতঙ্গদের মতো ঝিঁঝিপোকাদেরও কোন শব্দযন্ত্র নেই ।
তবে শব্দ হয় কিভাবে ? এরা শব্দ তৈরি করে পাখার ঘর্ষণে । তবে ঝিঁঝিপোকার পাখার ঘর্ষণের জায়গায় ১৫০ খানি অত্যন্ত ক্ষুদে ত্রিকোণী প্রিজম আছে । এছাড়া থাকে চারখানা পর্দা । পাখার ঘর্ষণে তৈরি শব্দ প্রিজম এবং পর্দায় ক্রমাগত প্রতিফলিত হয় । সঙ্গে সঙ্গে অনুরণন হয় । এর ফলে শব্দের প্রাবল্য বা তীক্ষ্মতা বহুগুণ বেড়ে যায় ।
ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে আধুনিক সভাগৃহ বা থিয়েটার হলগুলোর কথা ভাবলে । শব্দবিজ্ঞানের সুবিন্যস্ত প্রতিফলন তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে মৃদু আওয়াজকে বাড়িয়ে তোলা হয় এসব হলঘরে । এই হলঘরগুলোর দেয়াল নির্দিষ্ট কোণে বাঁকানো থাকে । মঞ্চ থেকে অল্প শব্দ সুবিন্যস্ত দেয়ালে ঠোক্কর খেতে খেতে একত্রিত হয়ে উচ্চমাত্রার জোরালো শব্দ শ্রোতার কানে আসে ।
ঝিঁঝিপোকাদের ক্ষেত্রে এরকম নিপুণ প্রতিফলন দেয়ালের কাজ করে তাদের ওই ছোট প্রিজম আর পর্দাগুলো ।।
Comments
Post a Comment