ঋভু চট্টোপাধ্যায়
কবিতা ১
নির্ভেজাল নামা বা ওঠা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এমনিই সিলেবাসহীন জীবন
মাথার এক কোণে আটকে থাকা ভয়
টেনে নিয়ে হাতের গন্ধ শোঁকায়।
হাত এখন ইথানল গ্রাসে।
যে মানুষটা এতদিন ঘুরে ফিরে জামা কাপড়
তার বাক্স বদলে আলু আর ফলহীন ফল সব্জি।
সাইকেলে বাঁধা থাকছে এই সব মাসের বন্ধ ভবিষ্যৎ,
যেখানে জনশূন্যতার খবর যাচ্ছে তাদের বাঁচা মানে
হাপিত্যেশের দাঁত নখ।
এভাবে আর কত দিন গেলে আবার একসাথে
হাতে হাত ধরা? একসাথে কয়েকটা শব্দ শুধুমাত্র
আঙুলের ডগায় নাহলে এমনিই ওঠাপড়া নির্ভেজাল।
কবিতা ২
সমীক্ষা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এক একটা নির্মমতা আড়াল করে নিলেও
মুখ খোলবার আগে একটা গাণিতিক ধরপাকড়
চলে।তারপর আচমকা দুর্ঘটনায় মারা যায় পৃথিবীর
শেষতম সম্প্রদায়ও।দেখতে হবে কোন জায়গা
এক চোখে দেখলে হাজার মনে হয়।
তারপর তৈরী সিঁড়ি, না থাকলে জিন্দাবাদ।
একটু চেয়ার একটু মুছে দেওয়া আর চুপ থেকে
শুধু বিপরীত ভুল খোঁজা।
তারমানেই সব ঠিক।না থাকলে একবার ঘেউ,
আরেকবার মিউ।
লেজ নেড়ে সেই আগের রাস্তায়।
এ’বছর একটা সম্ভাবনা আছে
তিনপুরুষ পায়ের উপর পা।
কবিতা-৩
চার দেওয়ালের উপত্যকা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
তারমানে কৃষিকাজেও মেঘ লাগে,
অনবরত অতিথি শ্রমিকের পা ফেলা
রাস্তার বুকে বুক পেতে হাঁটা যখন ভালোবাসা
বা ঘরে ফেরার সমান্তরাল হয় তখন কোনো এক
গুমঘরে বন্দি থেকে এক কাপ ভাত
আর রুটির মুখে বাঁচা একটা শব্দ মাত্র।
পকেটে শূণ্যতার জল ছবি,
আজকের এঁটো ভাত তুলে রেখে আগামী
পরশুর আধ পেট হবে, শুকনো রুটিও
শুধু মাত্র জলে ভিজিয়েও বাঁচা যাবে।
এই যে গণ্ডি ওপারে অদৃশ্য মৃত্যু,
সারা পৃথিবী এখন সীতা হয়ে বন্দি
চার দেওয়াল এক দরজার ঘরে।
কবিতা ৪
চাপা শ্বাস ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এই তো আকাশপথ, দিব্যি রোদের বাসা,
ঘাস ছোঁয় নিহতের উপত্যকা।
পারস্পরিক বিবাদ ফেলে ঘোরা যখন শুধুমাত্র
গণিতের উপকরণ তখন সাদা কাগজই ভালো।
ঐদিকে একই ছাদের নিচে মা মাসি,
বাড়ির কাছের জন অপেক্ষার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
স্বপ্ন দেখে আবার ছাদ হবে, নিজের বাড়ির ভিতর
চাঁদ খাবে ক্লান্তির কোল।
এখন এই পর্যন্তই তারপর আকাশের সব আলো
ফোটার আগেই রুটি হোক চাপা শ্বাস,
ভাত ফুটুক আশা জাগানোর ওম ও আগুনে।
কবিতা ৫
শোক প্রস্তাব ঋভু চট্টোপাধ্যায়
দিব্যি দাঁড়িয়ে।মাথার উপর হাহা রোদ
তলপেট অবধি জলের গর্তে।
যে’সব গাছ ভালোবেসে ভেঙে ছিল
জানলা আর দরজার শরীর,
যে অন্ধকার আঁকড়ে ধরেছিল সামনের উপত্যকা,
তাদের সরানোর লোক এখন আরামের ভোজসভায়।
হাল্কা চুমুক, একটু ফাণ্ড আর একটা লম্বা শোক প্রস্তাব।
এখানেই এগিয়ে থাকবার সূত্র।
নির্ভেজাল নামা বা ওঠা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এমনিই সিলেবাসহীন জীবন
মাথার এক কোণে আটকে থাকা ভয়
টেনে নিয়ে হাতের গন্ধ শোঁকায়।
হাত এখন ইথানল গ্রাসে।
যে মানুষটা এতদিন ঘুরে ফিরে জামা কাপড়
তার বাক্স বদলে আলু আর ফলহীন ফল সব্জি।
সাইকেলে বাঁধা থাকছে এই সব মাসের বন্ধ ভবিষ্যৎ,
যেখানে জনশূন্যতার খবর যাচ্ছে তাদের বাঁচা মানে
হাপিত্যেশের দাঁত নখ।
এভাবে আর কত দিন গেলে আবার একসাথে
হাতে হাত ধরা? একসাথে কয়েকটা শব্দ শুধুমাত্র
আঙুলের ডগায় নাহলে এমনিই ওঠাপড়া নির্ভেজাল।
কবিতা ২
সমীক্ষা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এক একটা নির্মমতা আড়াল করে নিলেও
মুখ খোলবার আগে একটা গাণিতিক ধরপাকড়
চলে।তারপর আচমকা দুর্ঘটনায় মারা যায় পৃথিবীর
শেষতম সম্প্রদায়ও।দেখতে হবে কোন জায়গা
এক চোখে দেখলে হাজার মনে হয়।
তারপর তৈরী সিঁড়ি, না থাকলে জিন্দাবাদ।
একটু চেয়ার একটু মুছে দেওয়া আর চুপ থেকে
শুধু বিপরীত ভুল খোঁজা।
তারমানেই সব ঠিক।না থাকলে একবার ঘেউ,
আরেকবার মিউ।
লেজ নেড়ে সেই আগের রাস্তায়।
এ’বছর একটা সম্ভাবনা আছে
তিনপুরুষ পায়ের উপর পা।
কবিতা-৩
চার দেওয়ালের উপত্যকা ঋভু চট্টোপাধ্যায়
তারমানে কৃষিকাজেও মেঘ লাগে,
অনবরত অতিথি শ্রমিকের পা ফেলা
রাস্তার বুকে বুক পেতে হাঁটা যখন ভালোবাসা
বা ঘরে ফেরার সমান্তরাল হয় তখন কোনো এক
গুমঘরে বন্দি থেকে এক কাপ ভাত
আর রুটির মুখে বাঁচা একটা শব্দ মাত্র।
পকেটে শূণ্যতার জল ছবি,
আজকের এঁটো ভাত তুলে রেখে আগামী
পরশুর আধ পেট হবে, শুকনো রুটিও
শুধু মাত্র জলে ভিজিয়েও বাঁচা যাবে।
এই যে গণ্ডি ওপারে অদৃশ্য মৃত্যু,
সারা পৃথিবী এখন সীতা হয়ে বন্দি
চার দেওয়াল এক দরজার ঘরে।
কবিতা ৪
চাপা শ্বাস ঋভু চট্টোপাধ্যায়
এই তো আকাশপথ, দিব্যি রোদের বাসা,
ঘাস ছোঁয় নিহতের উপত্যকা।
পারস্পরিক বিবাদ ফেলে ঘোরা যখন শুধুমাত্র
গণিতের উপকরণ তখন সাদা কাগজই ভালো।
ঐদিকে একই ছাদের নিচে মা মাসি,
বাড়ির কাছের জন অপেক্ষার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
স্বপ্ন দেখে আবার ছাদ হবে, নিজের বাড়ির ভিতর
চাঁদ খাবে ক্লান্তির কোল।
এখন এই পর্যন্তই তারপর আকাশের সব আলো
ফোটার আগেই রুটি হোক চাপা শ্বাস,
ভাত ফুটুক আশা জাগানোর ওম ও আগুনে।
কবিতা ৫
শোক প্রস্তাব ঋভু চট্টোপাধ্যায়
দিব্যি দাঁড়িয়ে।মাথার উপর হাহা রোদ
তলপেট অবধি জলের গর্তে।
যে’সব গাছ ভালোবেসে ভেঙে ছিল
জানলা আর দরজার শরীর,
যে অন্ধকার আঁকড়ে ধরেছিল সামনের উপত্যকা,
তাদের সরানোর লোক এখন আরামের ভোজসভায়।
হাল্কা চুমুক, একটু ফাণ্ড আর একটা লম্বা শোক প্রস্তাব।
এখানেই এগিয়ে থাকবার সূত্র।
Comments
Post a Comment