সম্পাদকীয় ১




শতাব্দী প্রাচীন একটা ধারণা অস্ত গেল । হাওয়ায় হাওয়ায় কাশের দোলা , আকাশে লাল সাদা নীল মেঘের কোলাকুলি , চুলোচুলি । পৃথিবী মুখ দেখছে জলের আয়নায় । যে ভালোবাসা অক্ষয় ছিল এত দিন ধরে , আজ সমস্তটাই ক্ষয় হল । ইতি টানলো সেদিনের হাসি মুখো দুজন । আজ তাদের একটাই পরিচয় অপরিচিত । খুব অবাক লাগলেও এমনটাও সত্যি হয় , খুব কষ্ট হলেও এমনটাও মেনে নিতে হয় , কারুর আনন্দের স্বার্থে । তোমার ক্ষতি চাই নি কোনদিন , কোনদিন চাই নি তুমি কষ্ট পাও । আজও তার হেরফের হবে না একফোঁটাও । যেখানে থেকো , যার সাথেই থেকো , ভালো থেকো । আমি , যেন তোমার কষ্টগুলো ভোগ করি চিরটাকাল । 
লড়াই থেমে যেতে দিও না কোনদিন । একবারও বলো না তুমি হেরে গেছো । হেরে যাওয়া তোমার মুখে মানিয়ে নিতে পারি নি কোনদিন , সোজা কথায় হারতে তোমায় সইতে পারবো না একদিন । আমার মাথায় মুকুট না থাকুক , বুড়ো হয়ে টাক পড়ুক অনেকটা ক্ষেত্র জুড়ে । তুমি কিন্তু নিজেকে একই রেখো , সুন্দরী ওই মুখটাকে কোনদিন হারিয়ে যেতে দিও না সময়ের সাথে ।
ভালোবাসা অপরাধ কি না জানি না কিন্তু মন লাগানো অনুভূতি খুবই বড় পাপ । আমি সেই পাপে পাপি , পারলে , আমায় ক্ষমা করো , ঈশ্বরী । আসলে ক্ষমা চাইতে গেলেও তো গুন থাকতে হয় , সমাজ তো তাই শেখাচ্ছে আমায় , আর আমার মধ্যে গুন বলে তো কিছু নেই , তাই পাপটুকু বেড়ে যেতে দাও । 
আমার হৃদয়ের যে শব্দ তা ইসিজি যন্ত্রে ধরা পড়বে না । লিভারের ক্ষিদে কমে গেলেও , জন্ডিস বা হেপাটাইটিস হয়েছে বলে কেউ মানবে না । আমাকে পাগল বলবে হয়তো এরপর সবাই । আসলে পাগলামি তো বুঝি না । আমি তোমায় চেয়েছিলাম , ঈশ্বরী , শরীর টাকে নয় ; তোমার হৃদয়টাকে । প্রশ্ন করেছিলাম এই ভূলোক কে , আমি কি আমার ঈশ্বরীর যোগ্য নই । তারা হাসলো , তারপর হাওয়ায় ভেসে চলে গেল । আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম সময়ের সাত ঘোড়ার রথটাকে , আমার সামনে দিয়ে চলে গেল , কোন অজানা ঠিকানায় ।
কথায় আছে , মন থেকে কিছু চাইলে , ঈশ্বর তা ফিরিয়ে দেয় যাচকের হেফাজতে । কিন্তু চাহিদা যেখানে স্বয়ং ঈশ্বরী সেখানে ঈশ্বর কি করে ছেড়ে দেবে বলো , মর্তের এমন অপরূপা সুন্দরী । আবার বলছি , এ সৌন্দর্য হৃদয়ের , মনের --- 
সত্যি বলবো , 
আমি এই সুন্দরের প্রেমে পাগল হয়েছি । ক্ষমা করো , ঈশ্বরীর প্রেমে জীবন পেয়েছি । এখন একটাই স্বপ্ন , তাকে নিয়ে এ বিশ্ব মুঠোয় করে নেবো । শতাব্দী প্রাচীন একটা ধারণা অস্ত গেল যেদিন , সেদিন এই স্বপ্ন অথবা স্বপ্নে পুষে রাখা ইচ্ছায় কতদূর বাঁচা যায় -- সে শুধু ঈশ্বরী জানে ।
কলমের ডগায় আজ তার নাম এঁকে দিলাম । একটা গোটা কবিতা তার জন্য লিখে গেলাম । আমি চলে যাবো যেদিন , সেদিন তাকে বোলো মুখবন্ধখানা খুলে দেখতে একবার । কয়েক ফোঁটা জল রেখে যাবো তার জন্য ----

" আমায় আর প্রশ্ন করে না নীল ধ্রুবতারা 
তারা জানে আমার ইচ্ছাগুলো আজ পূর্ণ দিশাহারা 
মদের গেলাসের নীল আভা নতুন সূর্যের মত 
আমাকে হাতছানি দেয় 
রোজ রাতে আড্ডায় বসি তারই সাথে জুত করে 
ভ্রমরেরা যে মধু চুরি করেছিল তোমার রেনু থেকে 
তার কোয়েক ফোঁটা মিশে গেছে এখানেও 
আমাকে স্বস্তি দিতে , স্বান্তনা দিতে 
বেঁচে রয়েছি আজও , জীবনের মত সবুজ 
কিন্তু পর্ণমোচি এই শরীরে আয়ু ঝরে পড়ে গেছে 
অনেককটাই ।
আমি মদের গেলাস ঠোঁটে জড়িয়ে নিলাম 
এই গেলাসে তোমার ছোঁয়া আছে 
তোমার কোলে আমার মরন 
আর মরনে আমার কবিতা , তোমাদের কবিতা ।
পূর্ণিমার চাঁদ আম গাছের ঝাড়ে উঁকি মারছে 
আজ নীলাভ নেশায় সেও উন্মত্ত 
আর যে শান্ত বিহঙ্গ সুর উড়ে গেল 
বাড়ির দিকে -- তোমার 
যেখানে সানাইয়ের আনন্দ রস ঝরে পড়ছে 
যেখানে ভিড় করেছে অপ্রেমীকের পঙ্গপাল 
সেখানে ; একটু আশীর্বাদ নিয়ে 
নীল গেলাস খালি হয়ে গেছে - এখন মাঝরাত্রি 
মন্দিরে বেজে ওঠে চার্চের ঘন্টায় আজানের সুর 
আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে 
হাত পা অসার , অসহ্য যন্ত্রনা বুকের বাম নিলয়ে 
ওপরে নীল আকাশ , নীচে নীল গেলাস , নীল বৃষ্টি , 
নীল পাখির কলরব 
নিজেকে নীলকণ্ঠ মনে হচ্ছে আমার "......

শিউলি মাখা সকালের আকাশটা কেমন মুখ ভার করে থাকে । বৃষ্টি আসে দু গাল বেয়ে । মনের ভেতর জমে থাকা অভিমানগুলো বেড়িয়ে আসে হৃদয় থেকে এক এক করে । খুব মনে পড়ে তোমায় । মনে হয় , কতদিন দেখিনি তাকে যার নম্বর এক সময়ে লেখা থাকতো মুঠোফোনে ওপরের সারি জুড়ে । আজও মনে হয় তোমার প্রতিশ্রুতিগুলো । কিকরে সব ভুলে গেলে একদিন । কিকরে ভুলে থাকা যায় । আসলে ভোলো নি কিছুই , যেটা চলছে সেটা শুধুমাত্র একটা অভিনয় । 
মাঝরাতের গাড়িতে পেরিয়ে আসি গন্তব্য । এ গন্তব্য আমার হৃদয়ে গাঁথা আছে কত যুগ ধরে । মনে হল , একবার সমস্ত শিকল ছিড়ে নেমে পড়ি তোমার খোঁজে । তারপর একছুটে ছুটে যাবো তোমাকে ছুঁতে । তুমি তখন অনেক বড় বাড়িতে থাকো । প্রচুর টাকা , রত্ন দিয়ে মোড়া তোমার গোটা শরীর । আমি তো চিরকাল তেমনই , যেমন আছি এখনই । ওই উচ্চতা আমার নয় । আমি সাধারণের মাঝে মিশে থাকবো , নিচ থেকে তোমায় দেখে যাবো ততদিন , যতদিন ঠিকানা আমার এই পৃথিবী । 
তারপর চাঁদ হবো । পূর্ণিমার আলো হবো । অমাবস্যার অন্ধকারেও আমার ছোয়া পাবে প্রকৃতি । সেদিন আমি স্বার্থক হবো । সেদিন আমি সম্পূর্ণ হবো । রাতের চাদরে ঢাকা প্রতিবার স্পর্শ করবো তোমায় । তুমি ঈশ্বরী সেদিন স্বাধীন দেখে প্রতিরাতে ঘুমিয়ে যাবো মেঘের বিছানায় । 
প্রতিরাতের তুমি আমার রঙে হবে রঙিন । একবার সুযোগ পেলে পড়ে দেখো ভিজে চোখের শুকনো পাতাগুলো আমার ---- 
" রাত জাগা দুটো চোখে আজ কবিতা আমার 
মাদলের গম্ভীর কন্ঠস্বর , আর আম কাঁঠালের বন 
রুক্ষ্ম মাটির ছৌ ছন্দে নেচে ওঠা মাতাল দুটো পা ।
আজ আমি ভাল নেই , কিন্তু এসব বুঝতে দেবো কেন ?
আজ ঘুম নেই চোখে , কিন্তু তাই বলে সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদবো কেন ?
সবাই তো ভালো আছে 
আমি না হয় ভালো থাকলাম অভিনয়ে , তাতে কি ? 
রাত জাগা দুটো চোখে আজ নেশা আমার 
মহুয়ার নেশা , দেশি বাংলার নেশা 
আমি হেমলক গিলেছি , কারন হেমলকে মৃত্যু আছে 
আর মৃত্যুতে আছে পুনর্জন্মের আস্বাদ 
তোমার প্রেমিক হয়ে এই গ্রামে গ্রামে ফেরি করবো তখন 
নানা রঙের রাত জাগা কবিতা ।

আমি ভালো নেই , সত্যি ।
সেদিন নিশ্চই ভাল থাকবো , তিন সত্যি "......

জীবনে ইচ্ছে অনেক হয় । তোকে ঘিরেই ইচ্ছে আমার । মন ভারাক্রান্ত হলে সেই সব ইচ্ছের পৃথিবীতে আড্ডা মেরে আসি । আসলে ইচ্ছে গুলো যে জানি কোনদিনই সম্পূর্ণ নয় । আমার আদরবাসার জাদুঘরে উঁকি মেরে আসি রোজ । ইচ্ছে গুলো একবার মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আবার ঈশ্বরীর দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ।
আজ খুব ভালো লাগে ঈশ্বরীর সাথে কাটানো দিনগুলো । হাতে হাত রেখে কফি হাউস , ম্যাডক্স স্কোয়ার অথবা নন্দন । খুব ভালো লাগে দুজনে ভিজবো জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে আর তারপর ...
হঠাৎ করে সব কেমন বদলে যায় । দিনের প্রথম চায়ে আমেজ থাকে না । গোলাপের লাল পাপড়িতে আজ স্বপ্ন দাঁড়ায় না । পদ্ম হয়ে জলের মাঝখানে একলা দাঁড়িয়ে থাকি । এতদিন নিজেরা ছিলাম আর এখন বাড়ির লোকে স্বপ্নের দাম দেয় না ।
কাঁটা তার আমাদের মধ্যে দূরত্ব দিয়ে গেছে । আজ চলো ঈশ্বরী ওই সীমা তুলে দিই । তোমার বুকে আমার মাথা , আর আমার কাঁধে তোমার দীর্ঘ নিশ্বাস । আমি অনেক দূরে চলে যাবো । তার আগে দুখু মিঞা হয়ে বাঁচতে চাই । প্রেম আজ মনে হয় আকাশের কাভার । সত্যি হলে শরীর চিনবে , প্রেম হবে না ।
ঘড়ির কাঁটায় এলার্ম বেজে ওঠে । সূর্যের হিলিয়াম বাতিটা নিভে আসছে । তারই ফাঁকে চারটি প্রহর শুধু ; 
ঈশ্বরী শীঘ্র করো ইচ্ছাগুলো ঘুরে দেখে নি ।
কাগজ খুলে বসেছিলাম । যাওয়ার আগে বলেছিলাম কলমকে , আমার স্বপ্ন যে তুমি আর তাই 
তোমাকেই ঘিরে সাজিয়ে রেখেছি কিছু অক্ষর সজ্জ্যা , মধুচন্দ্রিমার জন্য । আমি মরে যাওয়ার পর সে সব তোমাকেই রেখে দিতে হবে গুছিয়ে । তখন পড়ে দেখো সুতো দিয়ে ঢাকা একটি তারার না বলা কথা । এখন চলো ঘুরতে যাই :------

" তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো একদিন 
যেদিন বৃষ্টি হবে মুষলধারে 
গাছগুলো হাত নেড়ে নেড়ে হাঁক পাড়বে 
ওরে , বাছারা , এদিকে এসো
আমার বুকে মুখটা গুঁজে বসো ।
আমি ঘুরতে যাবো একদিন 
তোমার সাথে , মৃত্যু রাতে 
কুয়াশা উপত্যকায় ....
ভয় পাবে না কিন্তু একদম 
আমি সঙ্গে আছি তোমার , বাবু , সবসময় 
আর আছে এই জঙ্গল , পাহাড় , নদ , নদী 
এরা সবাই আপনজন 
তবু তোমার সাথে , শুধু তোমার হাতে জীবন ভুলে 
ঘুরতে যাবো , একটা রূপলী উপত্যকায় ।
একদিন ঘুরতে যাবো , তোমাকে নিয়ে 
অনেক দূরে 
ওই নীল আকাশের গাঁয়ে 
তারপর পড়ন্ত বিকেলে , রোদ্দুর চুরি করে আনবো 
তোমায় দেবো -- একটা লাল আকাশ , লাল সিঁথি , 
লাল ঘোমটার মোড়কে ।
আমার ভালোবাসা এমনই । সকলের থেকে বড্ড আলাদা ।
সবাই ভালোবাসা মুখে বলে । আমি পালন করি এক মনে --
যদি তুমি চাও "......

উৎসব মানেই পাগলামি , উৎসব মানেই হৃদয়ের না বলা অনেক কথা যা বাক নয় ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে জ্বলে ওঠে আকাশে বাতাসে । তোমার আমার গল্পটা আজ না হয় থাক । তারচেয়ে চল না কৈলাসের পথে , মায়ের গাড়ি ছাড়লো বলে । তুমি আমার কাছে অমূল্য তাই ভয় পাই হারাতে , আমি জানি তুমিও তাই ভাবো আমাকে নিয়ে । কিন্তু দেখো সূর্যের ফিরে যাওয়ার সময় হল । পশ্চিম আকাশ লাল হয়েছে । জোনাকি হয়ে তোমার পাশে পাশে হেটে যাবো । নক্ষত্রদের সাথে বন্ধু পাতাবো , লিখবো , একটি তারার গোপন কথা ।
বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে তোমার ছবি আঁকা হবে । মানুষের মুখে মুখে তোমার কবিতা পাঠ হবে । পৃথিবী চিনবে এক নতুন নক্ষত্র এ আকাশ গঙ্গার বুকে । তুমি সফল হও , তাতেই আমি সফল হবো অনেক । 
আমি স্বপ্ন দেখি না আর , স্বপ্নের জাল বুনি না আর , আমার স্বপ্ন এখন স্রেফ তুমি আর তোমার স্বপ্নে বাঁচি আমি । আমার নোয়া তোমার পাশে পাশে ভেসে যায় । আমি দুয়া ঠুকি প্রতিদিন । আমার রক্ত লিখে যায় তোমার সফলতা । ব্যর্থ চোখের জল শুকিয়ে মরে যায় পাতার ফাঁকে । 
ঈশ্বরী , আমি তোমার হতে ছাড়া আর চাই না কিছুই । আমি তোমাকে চাই । আমার মননে তোমার নাম বেজে ওঠে প্রতিদিন । আমার মরনে এটুকু করো , আমি যেন একবার তোমার দেখা পাই । আজ পুরুলিয়া আমার তোমার বুকে । আমি সেখানে আশ্রয় মাগি প্রতিদিন । আমাকে হত্যা করো ঈশ্বরী , তোমার নাম যেন মুছে ফেলো না অভিমানে কোনদিন । 
আমি যাবার আগে তোমার কথা বলি , আমার খাতাখানা খুলে দেখো  কবিতায় , জীবনে , মননে , মরনে ; অপরাজিত তোমার লীলা , আমার ভালোবাসা 
কল্যানিয়া ঈশ্বরী -----

হয়ত এভাবেই তিলে তিলে শেষ হবে গল্পটা , 
ছিড়ে যাবে সব পাতা ।। হারিয়ে যাবে একটা জীবন 
বেঁচে ছিল যা এতদিন তোরই অপেক্ষায় -- 
আজও থাকবে ছাইয়ের গাদায় , মনে কি তবু তোর 
পড়বে না !! দুফোঁটা জলে ভেজা দুটো ফুল পড়ে আছে 
ভালবাসা আমার কী সেদিনও প্রাণ পাবে না !! 
জানি আমার আর কোন প্রয়োজন নেই  
ফুরিয়ে গেছে সবকটাই , তাই তো ফিরে চলেছিস 
অচেনা হয়ে যেতে , অন্য কোথাও 
ফিরে তোকে কোনদিনও আর তো পাব না ।।
হ্যাঁ , পাতা ভরে ভরে তোরই নাম রাখা আছে ছড়িয়ে
দেখিস , কবিতার ডালে ডালে ফুল হয়েই থাকে যেন চিরকাল ।। তাতেই আসুক না হয় বসন্ত বারবার ।।
আমি তো কারুর যোগ্য নই রে : তাই প্রেম ধরা দেয় না কোনদিন ,
তুইও মানা করে দিবি এটাই তো স্বাভাবিক 
তবু অপেক্ষায় ছিলাম , যদি বদল আসে কখনও ।।

Comments

  1. পড়ে ভালো লাগলো। বেশ লিখেছ। ভালোবাসার আগুন লাগলে মনে, পোড়ায় বেশী সবাই জানে ।

    ReplyDelete
  2. খুব সুন্দর হয়েছে, দারুণ লাগলো

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

অপরাজিত -৯

অপরাজিত ১০

অপরাজিত ৮